অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শামশুজ্জামান হেলালী। যিনি একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ। এছাড়াও একাধারে একজন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর থাকাকালীন চট্টগ্রাম উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্টান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হন। এ সময় তিনি নগরের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘৯৫ এর মাষ্টারপ্লান করে অনুসরণ করে ব্যাপক স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহন করেন। ব্যক্তিগত জিবনে তিনি সদাহাস্যজ্জল সজ্জন, ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের ইসলামী বক্তা হিসেবে পরিচিত। পারিবারিক জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক। সমাজের দুস্থ, দরিদ্র ভাগ্যহত মানুষের ভাগ্যন্নয়নে তিনি নিয়মিতভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি ১৯৭৬ সালের ২০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সাতকানিয়ার কাঞ্চনা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। পিতা আব্দুস সাত্তার মাতা ইসলাম খাতুন। ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ।
গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়তুশ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল (১৯৯০)ও আলিম(১৯৯২) ১ম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। 1996সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার বিভাগ হতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ১ম শ্রেণিতে বিএড কোর্স সম্পন্ন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন শেষ করে ওই বছরই একটি সরকারী এম্পিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে। ৩ বছর ঐ প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনার সুযোগের অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। এরপর সমাজ কর্মী হিসেবে সমাজ উন্নয়নের বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার অভিপ্রায়ে ২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরাসরি পরিচালনা ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখেন। ৩ বছর কলেজে অধ্যাপনার সুযোগের অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। এরপর সমাজ কর্মী হিসেবে সমাজ উন্নয়নের বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার অভিপ্রায়ে ২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরাসরি পরিচালনা ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখেন।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সম্মাননা লাভ করেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি, ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ, আমরা চাটগাঁবাসী আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে ভূমিকা রাখেন। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়নে অনন্য সাধারণ ভুমিকা পালন করেন। তাছাড়া তিনি চসিকের নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্টান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে তার প্রিয় শহর চট্টগ্রামের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে জাইকার (১২০০) বারশ কোটি টাকার প্রকল্পটি কোঅর্ডিনেট করেন। চসিকের রাজস্ব বিভাগীয় আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাজস্ব উন্নয়নে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে যুগান্তকারি অবদান রাখেন। শিক্ষা স্টান্ডিং কমিটিসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্টান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে চট্টগ্রামের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখেন। যার ফলে চট্টলাবাসীর হৃদয়ে তার জন্য একটি স্থায়ী আসন পাকাপোক্ত হয়ে রয়েছে। তার অব্যাহত সমাজ উন্নয়ন ও সংশোধনমুলক কর্মে হাজারো মানুষ এখনও উপকৃত হচ্ছে। শত শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার এসব জনহিতকর কর্মসূচি সমাজকে আলোকিত করে চলছে নিয়মিত। তার এ মানবসেবার পরিধি ক্রমশ সারাদেশে দেশে দিতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখন তিনি শুধুমাত্র একজন ব্যাক্তি নন একটি ইনষ্টিটিউশন হিসেবে পরিগণিত।